কবিতাটি শুনতে চাইলে
শ্যামল রাত্রি তুমি এসো
আমায় নিয়ে যাও আগুনঝোরার বনে
যেখানে কোনো এক দুরন্ত ফাল্গুনে
ফুটেছিল রাশি রাশি অমলতাস ফুল।
ফুটেছিল? নাকি সে আমার মনের ভুল?
জানি না..জানি না ফুলেদের মৃতদেহ ঝরে
কেন ঘাসেদের চাদরে আদরে,
কেন মর্মব্যথা জেগে থাকে
পৃথিবীর বিজন প্রান্তরে,
কেন রুদ্ধ সঙ্গীত বাজে অন্তরে অন্তরে?
ক্ষুধা জেগে থাকে বুভুক্ষু মনে
মন পোড়ে, পোড়ে মন তুষের আগুনে।
রাতচরা পাখিদের গান
আর বুকভরা নীরব অভিমান
লেগে থাকে শিশিরের গায়,
আমি শুধু বসে থাকি ঠায়।
খোলা পরে থাকে সাদা পাতা
ব্যর্থ কোনো ব্যর্থ প্রেমগাথা
শরীর পেতে চায়। এক প্রাচীন পাখির
কণ্ঠে বিঁধে থাকে তীর,
রক্ত ঝরে বিধুর সঙ্গীতে।
বিষাক্ত কীটের মত দংশাতে
আসে কোনো বিষধর সাপ –
ঠোঁটে লেগে থাকে তার
সহস্র বছরের পুরাতন পাপ,
রক্ত মাংস মজ্জা মেদ
জুড়ে থাকে স্তূপীকৃত ক্লেদ।
ক্লিন্ন পৃথিবী, হে ক্লিন্ন পৃথিবী
রাত্রি সর্বজ্ঞ নয় এ আমার একান্ত বিশ্বাস।
প্রতি নিশ্বাসে তাই অভিসার অনাগত দিনে
যেখানে অরণ্যের গহনে গহীনে
অমল অরূপ এক আলো খেলা করে।
গাছেদের একান্ত জঠরে
জীবনের স্বাদ মাখামাখি জড়াজড়ি।
এইখানে এইখানে নিহত শর্বরী
এইখানে এসে আমি দুদন্ড বসি, খেলা করি।
অনলস ঝরে পরে অজস্র মেহুল।
তান ওঠে, ঐকতান, সুগভীর নাভীমূল থেকে –
“একা নই একা নই আমরা তো সুমধুর কবিতা প্রত্যেকে”