শিকাগোতে আজ টুপ টুপ টুপ বৃষ্টি সকাল থেকে। তাই এই কবিতাটা আমার প্রিয় পাঠকদের জন্য। যারা তেমন পড়ার সময় পান না, তাদের কথা ভেবে কবিতাটা আবৃত্তিও করে দিলাম। সোজা নিচে গেলে লিঙ্কটা পাবেন। যারা পড়তে ভালবাসেন, তারাও আবৃত্তিটা শুনতে পারেন। আশা করি ভালোই লাগবে।
এক শ্রাবনী অন্ধকারে
কৃষ্ণ কালো মেঘের ঘটা আকাশ পরে –
নির্নিমেষে চেয়ে থেকে প্রশ্ন করি, শুধাই তারে
ঘুরে বেড়াও উড়ে বেড়াও কিসের তরে?
আকাশ জুড়ে,
রঙ মাখা ঐ মেঘ চাদরে
মুখ ডুবিয়ে মন্দ্র স্বরে
কাকে ডাকো?
কোন সে চাতক চুপিসারে
তোমায় পাওয়ার লোভে চলে অভিসারে?
কোন সে আলো মুখ লুকিয়ে চুপ শরীরে
তোমায় ছুঁলো, মৃত্যু নিল শরীর জুড়ে?
কোন সে কবি এক দুপুরে
তোমায় নিয়ে লিখবে বলে
সারা বেলা রইলো বসে কলম ধরে…
মেঝের পরে রইলো পড়ে
ছিন্ন কিছু শব্দ কোন এক শেষ না হওয়া কণ্ঠহারে।
কোন এক মাঝি বৈঠা ধরে
পথ হারাল তোমার খোঁজে
সুর বাঁধলো বাউল সুরে?
জানালা পথে এক টুকরো তোমায় পেয়ে
কোন সে জনপদবধু রইলো পরে ঠোঁট কামড়ে?
শিয়াল কিছু আঁচড়ে কামড়ে
আশ্লেষে প্রান ভরিয়ে দিল। গলির মোড়ে
কোন সে অপু তোমায় দেখে বারে বারে
খেলা ছেড়ে রইলো চেয়ে
রইলো চেয়ে ঐ সুদূরে?
কোন সে গৃহবধু সেদিন দরজা ধরে
একলাটি প্রতীক্ষা করে
সেই সে জনের
যে জন কোথায় হারিয়ে গেছে বন পাহাড়ে?
কোন সে ডাহুক চুপিসারে
তোমার সাথে ভিজবে বলে দিগবলয়ের কাছে ওড়ে?
মেঘ বললে,
আমি আমার ভেলায় নিয়ে ফিরি আশা
ফেরি করি বৃস্টি-ভেজা-ভালবাসা।
অনাগত এক স্বপ্নমুলুক, সুলুক দিতে আমার আসা।
ভালবাসি বলছে শুধু, বলছে আমার মন্দ্র ভাষা।
ভালবাসার জোয়ারজলে ভাসিয়ে দেব সব নিরাশা –
ভিজিয়ে দেব গৃহবধূর বুকের আঁচল, সব তিয়াশা।
ঝড় তুলব সর্বনাশা –
সেই ঝড়েতে বিলীন হবে শীর্ণ শিথিল সব কুয়াশা।
নতুন জগৎ জন্ম নেবে, নতুন দিশা
আসবে সাথে, আসবে আবার নতুন করে ভালবাসা।।
বাহ। বেশ ভালো লাগলো
thank u…