আজও তোর ছাদের বাগানে বোগেনভিলিয়া হয়ে ফুটি
তোর আঙ্গুলের ছোঁয়া পাব বলে
আজও তোর ঠোঁটে সিগারেট হয়ে জুটি
তোর ফুসফুসে কার্বন হয়ে জমবো বলে
আজও হাতে গেলাস হয়ে তোর স্নায়ুতে, মস্তিস্কে মাদক হয়ে ছুটি,
নেশাতুর ঘুমের রেশ
আজও সদ্য-গোঁফ-ওঠা কিশোরের চোখে মুগ্ধতা হয়ে ফুটি
তোকে দেখি, নির্নিমেষ
বিয়ে বাড়িতে কতবার বাজারি বেলিফুল হয়েছি
তোর চুলে জড়াবার জন্য
গত এপ্রিলে মন্দারমুনিতে বালি হয়ে ছিলাম
তোর পায়ের নগ্নতাকে চিনতে; বন্য,
তুই ব্যালকনিতে দাঁড়াস যখন, আজও বৃষ্টি কনা হয়ে
তোর শরীরে আঁতিপাতি খুঁজি মাঝরাতে
মেঘলা দুপুরে তুই যখন একলা উপুড়,
তোর ঠোঁটের সব না-ফোটা-কথা বুঝি নিরালাতে
তোকে জ্যোৎস্না জলে ভেজাব বলে
আজও চাঁদ হয়ে উঠি আকাশেতে
মানুষ নয়, অন্য কোনো শরীর নিয়ে কতবার সাজিয়েছি ঘুঁটি
তোর শরীর পেতে
তবু, “ভালবাসি” হয় নি বলা;
পারিনি তোকে নিজের করে নিতে তুই নয়,
প্রাণে ভয় ধরিয়েছে তোর স্বাধীনতা
পারিনি আমার পুরুষতান্ত্রিকতাকে মেরে দিতে।
(প্রকাশিত)