এই যে দাদা, মেট্রো স্টেশনটা কোন দিকে বলতে পারেন?
কোন মেট্রো? রবীন্দ্র সরোবর?
এই যে কোনো একটা হলেই হবে।
সে আবার কেমন কথা? আপনি যাবেন কোথায়?
কোথাও যাওয়ার নেই দাদা। রোজগার পাতি নেই। বৌ আজ সকালে পুরনো প্রেমিকের সাথে ভেগে গেছে।
তাহলে কি করবেন ঠিক করেছেন?
কি আর করব? আত্মহত্যা করাটাই ঠিক হবে বলে মনে করছি। বলুন না মেট্রো স্টেশনটা কোনদিকে? আচ্ছা দাদা, বেশি লাগে না তো? কোনদিন করেছেন? আই মীন কেউ করেছেন বলে জানেন? ধুসশালা, জানলেই বা আপনি জানবেন কি করে তার লেগেছিল কিনা। যাই হোক বেশি ভেবে লাভ নেই। করেই ফেলি।
খবরদার না। খবরদার না।
আপনি মিছেই আমায় সহানুভূতি দেখাচ্ছেন দাদা…বিশ্বাস করুন…
সহানুভূতি দেখায় কোন শালা? আপনার বৌ পালিয়েছে, আপনি সুইসাইড করবেন, আমি কেন খামোকা বাধা দিতে যাব?
তবে?
তবে কিনা মেট্রোরেলে মাথা দেবেন না। মাইরি বলছি বড্ড অসুবিধে হয় বিশ্বাস করুন। প্রতিদিন অফিস ফেরতা আপনার মত ওই একটি দুটি মাথার চক্করে ট্রেনের গণ্ডগোল। দেরী করে বাড়ি ফিরলে বউ সন্দেহ করে পরকীয়া। খালি পিলি কাঁড়ি কাঁড়ি গালি দেয়। মরছেন মরুন আমাদের বাঁশ দিয়ে মরবেন না।
তবে কিভাবে মরি বলুন তো? ইরাক সিরিয়া চলে যেতে পারি, ফ্রীতে মেরে দেবে। কিন্তু সে ভারি খরচার ব্যাপার।
নিখরচায় মরতে চান, মায়ের কোলে চড়ে বসে থাকুন।
দাদা ঠাট্টা করছেন তো? করুন করুন। সবাই করে আমায় নিয়ে।
আরে না না। ঠাট্টা নয়। গর্ভধারিনী মা নয়, মা ব্রীজে চড়ে দাঁড়িয়ে থাকুন। বছরখানেকের মধ্যে মৃত্যু নিশ্চিত।
কেমন করে?
বছরে আমাদের গড়ে দুটো করে ব্রীজ ভাঙে। মা যেদিন ভাঙবে, আপনি ফিনিশ।
মায়ের স্নেহচ্ছায়ায় মৃত্যু, মায়ের গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া ব্যাপারটা খুব exciting লাগছে দাদা…
সেটাই। মা সেতুই হোক আপনার মৃত্যুর হেতু। যান নিচে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ুন।