তা তা থৈ থৈ

আহা কি অনবদ্য নৃত্যশৈলী! যেন রাম তেরি গঙ্গা মইলি! যেন কালবৈশাখী উঠেছে পাগলপারা, যেন শ্রাবণঘন বাদল দিনে ঝরোঝরো বৃষ্টি ধারা! ফেঁপে উঠেছে বাঙালিয়ানা, নেচে উঠেছে মন মাতাল, কেঁপে উঠেছে ত্রাসে টেরাস (terrace) এবং স্বর্গ-মর্ত-পাতাল! যেন স্বয়ং নটরাজ ভর করেছেন প্রতি অঙ্গে, প্রত্যঙ্গে, আহা অঙ্গে! আহা কি প্রেম সাজিল আজি বঙ্গে! মুরারী দাঁড়াইল ত্রিভঙ্গে। ঘেরিয়া ঘেরিয়া নাচে গোপীজনশ্রেষ্ঠা রণরঙ্গে!

প্রভু কন, ওরে প্রভু কন। তিনি নিজেই ফ্যাশন আইকন! তাই বাজিল নুপুর, কঙ্কণ! মাথা ঝনঝন ঝন ঝনঝন! রাঙা ধুতি চড়িল শ্রী অঙ্গে! ষষ্ঠীর সাজে শ্রীমতী সে সঙ্গে! ওহে বাঙালি, তুমি কাঙালি। তাই তোমায় দেখাল দ্য ওয়াল, কাহারে বলে দ্য বাওয়াল। তা তা থই থই রনোথম্বোর। মন টই টই টই টম্বুর। আহা মিস্টি, আহা কৃষ্টি, এ তো হিস্ট্রি, অনাসৃষ্টি। আজ এ সকলই হল শুদ্ধ। বাক্রুদ্ধ। বাক্রুদ্ধ। আহা লাবণ্যে প্রাণ পূর্ণ। শুধু মন ভেঙেচুরে চূর্ণ। রবিসন্ধ্যা রবিসন্ধ্যা। বাংলা কি তবে বন্ধ্যা? আজ দেবী দুর্গার আগমনী গানে নেমে পড়ে মদ-অনদা। তা তা থৈ থৈ। এ কি হৈ হৈ। আমি মনকেই বলি পই পই – মন রে, ওরে মন রে, ওরে বিকচকুসুম মন রে, আজ মেনে নাও তুমি, মেনে নাও আজ, এসকলই শোভন রে।

Any resemblance to actual events or locales or persons, living or dead, is entirely coincidental – মানে আমার তাই মনে হচ্ছে আর কি। আপনার কি মনে হচ্ছে বলতে পারব না।

Leave a Reply