পাঠান

স্ব বাবু যযাতিকে বললেন, মহারাজ, আপনি প্রাজ্ঞ ও বিচক্ষণ।
মহারাজ যযাতি বললেন, সে ব্যাপারে আমি সম্যক রূপে অবগত। আগে বলো।
স্ব বাবু বললেন, শুনেছি মহান আর্যাবর্তে একটি নতুন ছায়াছবি প্রকাশ পেয়েছে। সেই নিয়ে খুব হৈ হৈ রৈ রৈ। নাম পাঠান।
মহারাজ যযাতি বললেন, অতি আশ্চর্য। ছবি হৈ হৈ করে চলছে অথচ তার নাম নির্ধারণ করা হয় নি? আমাকে নাম পাঠাতে বলছে?
আজ্ঞে না না। ছবির নামই পাঠান।
সে বুঝেচি। কিন্তু তারা নিজেরাই তো ছবির নাম ঠিক করতে পারে। তারা তো আর পাঁঠা নয় যে তাদের ছবির নাম আমায় পাঠাতে হবে!
মহারাজ, ছাড়ুন। শুনেছি সে ছবি নাকি নয় শো কোটি টাকার ব্যাবসা করেছে।
নয় শো কোটি মানে কত? এক পদ্ম না এক মহা পদ্ম?
আজ্ঞে, নয় পদ্ম। এক পদ্ম মানে হলে গে একশ কোটি।
সে আর এমন কি। বিন্ধ্য পর্বতের দক্ষিণে যে দাক্ষিণাত্য আছে, সেই স্থলে ছবি শুনতে পাই প্রায়শই এক মহাপদ্ম কি এক জলধি পর্যন্ত ব্যাবসা করে।
মহারাজ সর্বজ্ঞ। তবে অদ্দুর করে না মনে হয়। হাজার পদ্মে এক মহাপদ্ম। বাহুবলী বলে একটি ছবি পনের পদ্ম ব্যাবসা করেছিল। অর্থাৎ কিনা পনের শো কোটি।
বটে? তবে কোনো ছবি এর থেকে বেশি ব্যাবসা করে নি?
আজ্ঞে করেছে। সে ছবি এখন ছবি হয়ে গেছে। নাম আদানি।
ও। আদানি? সে কি আদার ব্যাপারী?
না না আদা না। আদানির আদান প্রদান বহুবিধ। একে বলে বিজনেস কংগ্লোমারেট। সে যাগগে। মহারাজা, যাবেন নাকি পাঠান দেখতে? চমৎকার ছবি। তবে মাথাটি শুনেছি হলের বাইরে খুলে রেখে যেতে হয় দেখতে।
তুমিই দেখো এসো বৎস। আমার এই বুড়ো হাড়ে আর জোর নেই তেমন। তার ওপর আমার মাথা আমার পরম প্রিয়। তা খুলে রাখতে রাজি নই। গল্পটি শুনিও দেখে এসে। যদি কিছু থাকে…

Leave a Reply