“বাহুবলী দুই
না দেখলে তোর মুখের পরে থুই”
“এখনও দেখিস নিইইইইইইই??” এই প্রশ্নের শেষের নি-এর টানটা যত দিন যাচ্ছে তার সাথে জিওমেট্রিক প্রগ্রেশানে বাড়ছে। তাই সমস্ত ভারতবাসীর অবহেলা আর ঘৃণার হাত থেকে বাঁচতে শেষমেশ স্ব-বাবু ছবিটা দেখেই ফেললেন পরশু। মন্দ নয়, বেশ। যোদ্ধা বাহুবলীর থেকে হৃদয়বান অমরেন্দ্রকেই বেশি ভাল লাগল। তার মৃত্যুকালে রথের চাকা গেঁথে যাওয়া অসহায় কর্ণের কথা মনে গেল। সে যাক। দেবসেনার সর্বোপরি জয় হলেও তাঁর এখন ঘোর সংকট। ছবিটা রিলিজের পরে এখন অনেক মেয়েরই হার্টথ্রব অমরেন্দ্র। স্বপ্নে আসছে, যাচ্ছে। “ওরে ও রাজা”-র সাথে রোমান্টিক সিকুয়েন্সও হচ্ছে।
স্ব-বাবু ভেবেছিলেন অমরেন্দ্র উপাখ্যান চক্ষুস্থ করার ব্যাপারে তিনিই বোধ হয় শেষ ভারতবর্ষীয়। কিন্তু যযাতি তো ত্রিকালদ্রষ্টা। তিনি দেখে শুনে বললেন আর একজন এরকম দুরাত্মা, পাপী আছে যে বাহুবলী দুই এখনও দেখে নি। তিনি যে সর্বশেষ ব্যক্তি নন এই জেনে স্ব-বাবু ভীষণ আনন্দিত হলেন, ড্যাং ড্যাং করে নেচে দু পাক ঘুরে নিলেন। আনন্দে বউকে জড়িয়ে ধরে একটা চুমু খাবেন ভাবছেন হঠাৎ তার চার বছরের ডানা-লোকানো-পরী বলে উঠল –
“বাবা, বাহুবলীকে কাটাপ্পা মারল কেন?”
ব্যাস…স্ব-বাবু ঘেঁটে ঘ…