
ইনি আমার এক প্রিয় বন্ধুর দিদিমা। বয়স নয় নয় করে তিরানব্বই! ছোটবেলা থেকেই মুদ্রিত অক্ষর থেকে রস আহরণ করার বদ অভ্যাস ওনার। এ বছর পত্রভারতী থেকে আমার “যযাতির ঝুলি – এক ডজন গপ্পো” নামে যে বইটি বেরিয়েছে সেটা উনি মন দিয়ে পড়েছেন মলাট থেকে মলাট এবং শুভেচ্ছা জানিয়েছেন লেখককে। ব্যাপারটা জেনে মনটা এক অদ্ভুত গর্বে ভরে গেল। কারণ দুটো। এক, আমার ছোটগল্পগুলো যে একজন নবতিপর বৃদ্ধার সাথেও যোগসূত্র স্থাপন করতে পারছে সেটা লেখক হিসেবে আমার জন্য ভীষণই একটা আনন্দের অনুভূতি। কারণ আমি মূলত কিশোরদের জন্য লিখেছিলাম গল্পগুলো।
আর দ্বিতীয় কারণ হল, ওনার যেহেতু সারা জীবনই বই পড়ার বদ অভ্যাস ছিল তাহলে একটু হিসেব করলেই দেখা যাবে রবীন্দ্রনাথ যখন দেহ রাখছেন তখন তিনি ষোড়শী। অতএব ওনার গল্পকবিতার ঝুলিতে আছে রবি, জীবনানন্দ, পরশুরাম, শিবরাম, সুনীল, শীর্ষেন্দু, সমর, সুভাষ, শঙ্খ, শক্তি, ত্রৈলোক্যনাথ। তারপরেও যে উনি আমার লেখা পড়েছেন এবং ভালোবেসেছেন সেটা আমার জন্য খানিকটা ভরসার কথা বই কি! যারা দেশে আছেন এবং বইয়ের এক কপি সংগ্রহ করতে চান ফ্লিপকার্টে গিয়ে “Jojatir Jhuli” নাম দিয়ে সার্চ করবেন। সারা বছরই অনলাইন (এবং কলেজস্ট্রীটের বইপাড়ায়) পাওয়া যাবে এমন ভরসা দিয়েছে আমায় আমার প্রকাশক পত্রভারতী।
এছাড়াও পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন অনলাইন স্টোরে। যেখানে সস্তায় পাচ্ছেন সেখানেই কিনুন।
https://readbengalibooks.com/index.php/jajatir-jhuli.html
এটা সত্যিই অনেক বড় পাওয়া।
ধন্যবাদ। পারলে এক কপি অনলাইনে সংগ্রহ করবেন যযাতির ঝুলি বইটি। লিংক দেওয়া আছে এখানে। পড়ে আশা করি হতাশ হবেন না। আর আপনাদের প্রেমের গল্প ওয়েবসাইটে গল্প লেখার সুযোগ থাকলে জানাবেন। আমার লেখা অনেক পত্রপত্রিকাতেই ছাপা হয়।
এইসকল অভিভাবকদের আশীর্বাদ সবসময় থাকুক পাশে।।
Thank u maam! Apnarao sathe thakun..khub khub kore chai apnader bichokkhon motamot jojatir jhulir sob lekhay