কলকাতায় ভেনিস

ঘুমের মধ্যে বললেন এসে হরি
“এবার তোমায় যেতে হবে। চলো হে তাড়াতাড়ি”
আমি বললাম “হে প্রভু আপনার পায়ে পড়ি
আমায় কেন যেতে হবে এখুনি যমের বাড়ি?
কি দোষ আমার? আমি কি চুরি করি?
নাকি আমি election লড়ি?
নাকি আমার খাটের তলায় হাজার টাকার নোটের ছড়াছড়ি?
যদি কোনো মেয়ের জন্যও শপিং করি সেও তো আমার বৌ নয় শ্বাশুড়ি।
আমি তো বিনয়ী শান্ত, আমার নয়তো পায়াভারি
দোষের মধ্যে যা একটু মেয়েদের ঝারি মারি
তাও যদি সে হয় ডানা-কাটা পরী
– এগুলো তো কোনো দোষ নয় আহামরি।
তা…আমি এই কান মলছি আমায় ছেড়ে দিন মাইরি
আমি সামান্য মানুষ, আমি আদার ব্যাপারি
কেন আমায় গোটাতে হবে পাততাড়ি
সাততাড়াতাড়ি?
কি দোষে শেষ station-এ আমার রেলগাড়ি?
কতো লোকের কেচ্ছা কাহিনী অগণ্য। কাঁড়ি কাঁড়ি।
কতো লোকের কোটি টাকার চোরাকারবারি
গরীবের রক্ত খায় আর করে মন্ত্রীর তাঁবেদারি
তবে কেন যাবার সময় হল শুধু আমারই?”

স্মিত হেসে বললেন পদ্মনাভ হরি
“আমার কাজ তো পালন, পাগলা, আমি থোড়ি না মারি
তোর জন্য এনেছি দেখ mercedes গাড়ি
চল তোতে-আমাতে ঘুরে আসি টালিগঞ্জ ফাঁড়ি
প্রয়োজনে এই গাড়ি হতে পারে submarine – ডুবুরি
বর্ষায় ভীষণ ভিজে কলকাতা এখন vintage ভেনিস নগরী
জমা জল নিয়ে নেতারা খেলুক চু কিত কিত, হোক আম্পায়ার রেফারী
তুই রেডি হয়ে নে। ডোন্ট ডু দেরী।
তোতে আমাতে করে আসি চল বন্যা সাফারি” 🙂 🙂

ঝুলির বেড়াল

catএক বন্ধু প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল

“নটে গাছটি কি মুড়োলো?
যযাতির ঝুলি কি ফুরলো?”
আমি বললাম – আসলে গল্প হল
ঝুলিটাতো খুলির মধ্যে ছিল
ঝুলির থেকে যেই মেনি বেড়াল বেরুল
অমনি একটা হুলো
চোখ মটকে দিল
সঙ্গে দিল রজনীগন্ধা ফু্লও
আর বলল “হ্যালো?
কেমন আছ? ভালো?”

আর বলল “হ্যালো?
কেমন আছ? ভালো?”

ব্যাস মেনি লজ্জা পেল
বলল “আ মোলো
এ তো দেখছি জ্বালিয়ে খেলো”
বলেই লাজুক মেনি গিয়ে আবার ঝুলিতে ঢুকল
কি গেড়ো বলো
চিরকালই যত নষ্টের মূল এই হুলোগুলো
নেই কোনো চালচুলো
নিয়ম কানুন কিসসু মানে না, মানে না কোনো রুলও
ধরতে গেলেই চোখে দেবে ধুলো
তবে উপায়? এ তো ভারি কেলো
হঠাৎ একদিন যযাতি উপায় বাতলালো
ঝুলির মেনি চাউনি-বান চালালো
ব্যাস। আনন্দেতে হুলো বেঘোরে প্রাণ হারাল
যযাতির ঝুলি আবার প্রসবী হল।

হতচ্ছাড়া

Office যাওয়ার আগে নিত্যনৈমিত্তিক একটি ঘটনাকে এই মজার ছড়াটায় একটু ধরার চেষ্টা করেছি। আপনাদের সকলের জীবনেই এটি কখনো না কখনো ঘটেছে। তাই আশা করি relate করতে পারবেন।


মোবাইল মহাশয় বড়ই সদাশয়,
যখন দরকার হয়, ডাকলেই দিয়ে দেয় সাড়া
মানিব্যাগ হতচ্ছাড়া, যদি করেছ কাছছাড়া,
লুকোচুরি খেলে তবে তারা
অফিস যাওয়ার কাল, সক্কাল সক্কাল,
হন্যে হয়ে তারে খুঁজি
এর থেকে সোজা করা, সোনার হরিণ ধরা
ট্রেন খানা মিস হল বুঝি
ঘড়ি ঘড়ি দেখি ঘড়ি, বাড়িঘর মাথায় করি,
কেমনে পাইব তার দেখা
হাত পা-ই হল নাকি, নেই কোথা খোঁজা বাকি,
নাকি শেষে মেলে দিল পাখা
বৈঠকখানা ঘুরে খুঁজি তাকে অন্তপুরে,
স্নানঘরে যাই তারপরে
বুঝি বা হারাল তবে, “কার্ড গুলো কি যে হবে”,
বুক ভয়ে দুরু দুরু করে
শেষমেশ খুঁজেখাজে, সোফার গদির খাঁজে
পেয়ে তারে সুখে গান গাই
“নয়ন সমুখে প্রভু থেকো, নয়নের কভু
মাঝখানে নিয়ো নাকো ঠাঁই”