লাজুক হাওয়া আলগা ছুঁল চুল
নরম বালিশ চিবুক ছুঁয়ে থাক
না হয় তুমি গল্পে মশগুল
আঙুল ছুঁল আঙুল অযথা
.
পলাশ তোমায় দিক, রাঙিয়ে দিক
আশমানী রঙ অঙ্গশোভা হোক
বৃষ্টি নামুক, অন্ধ দিকবিদিক
কথারা আজ থামুক, অনর্থক
.
বেতস লতা শিউরে উঠে চুপ
পদ্মডাঁটা আবেশে থির থির…
আলগা খোঁপা কখন যে তছরুপ
ভাঙুক না পাড় জোছনা নদীটির
.
আঝোর ধারায় ভিজুক বনফুল
পথিক চিনুক অচেনা পথঘাট
নকশি-কাঁথা বুনুক কাঁটা-উল
সাক্ষী থাকুক ভুবনডাঙার মাঠ
Tag: প্রেমের কবিতা
সহচরী
আমি তোমায় ভালোবাসি।
দেবদারু গাছের নিচে বাতাস কেঁদে মরে
চাঁদ ধোয়া জল পরিত্যক্ত নোনা ধরা নৌকায় ঘাই মারে
তোমার আমার মাঝে অনন্ত জলরাশি।
একলা বন্দর। আমি বসে থাকি ঠায়
আমার আত্মা ধুয়ে যায় আকাশগঙ্গায়।
নিস্তব্ধ চারিধার
সমুদ্রের জান্তব গর্জনও প্রত্নতত্ত্বের মত নীরব।
সাদা ফ্যাটফেটে রংহীন পৃথিবী
তুমি শুধু একটু পলাশ।
আমি তোমায় ভালবাসি।
তবু দিগন্ত তোমায় চুরি করে নিয়ে যায়।
দিকভ্রান্ত মুমূর্ষু জাহাজে করে
আমার তোমাকে না-লেখা-চিঠিরা ভাসে অনির্দেশে
পরম আশ্চর্য সন্ধ্যা নামে।
তোমার আয়ত চোখ ধার নিয়ে চেয়ে থাকে সন্ধেতারা নির্নিমেষ
আমি সহবাসে তৃপ্ত নাগরের মত নিদ্রা যাই।
ভুলে যাওয়া গানের কলির মত তখন
তুমি ফিরে ফিরে আসো সহচরী।
তোমার কথা
তোমার কথা বলে বেভুল অমলতাস ফুল
নবীন আকাশ, হিরন্ময় জল
তোমার কথা বলে অনর্গল
তোমায় খোঁজে কৃষ্ণ আঁখি রাতচরা এক পাখি
হেমন্তের হিমেল হাহাকার তোমায় খোঁজে
একলা দুপুর বোঝে তোমায় বোঝে
তোমায় জানে বনমর্মর, নয়ানজুলির চর
বর্ষামুখর ঝিঁঝিঁ ডাকার রাত
জানে তোমার নীরব সংঘাত
তোমায় ছুঁয়ে থাকে কথা, মেদুর বিষণ্ণতা
ভোরের বাতাস পাথরকুচি পাতা
তোমায় ছোঁয়ার ছলেই উদ্গতা
আবার যদি ফিরে আসি
আবার যদি ফিরে আসি,
আমায় নিয়ে যাবে তোমার ভুবনডাঙার মাঠে?
যেখানে রোজ সন্ধেবেলা রিক্ত প্রহর কাটে
মগ্নতারা একলা জাগে নদীর ঘাটে ঘাটে।
আবার যদি ফিরে আসি,
তোমার খোঁপায় জড়িয়ে দেব বনধুতরোর ফুল।
বাতাস তোমার গন্ধে আকুল
প্রিয়া তোমায়, ইতস্তত ছুঁয়ে যাবে সামান্য লজ্জায়।
আমি তখন একলা শুয়ে তোমার জলে..অনন্ত শয্যায়।।
Phoolon ke Rang se…
গীতিদি এবং পার্থদা বলে এক দম্পতি আছেন যাঁরা এখানকার যেকোনো মহতী বাঙালি উদ্যোগে একজন আশ্রয়ী বটবৃক্ষের মত সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। ওনাদের ৪৩ তম বিবাহবার্ষিকিতে শুভানুধ্যায়ীরা একটা প্রীতিভোজের আয়োজন করেছিলেন। সাথে একটি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। আমায় অনুষ্ঠান সঞ্চালকের দায়িত্ব দেওয়ায় বিভিন্ন শিল্পীরা যে গানগুলি গাইবেন শুনে দেখছিলাম। নতুন করে প্রেমে পড়ে গেলাম সেই অমর কালজয়ী গানটির – “Phoolon Ke Rang Se Dil Ki Kalam Se”। এতটাই প্রেমে পড়ে গেলাম মনে হল গানটি অনুবাদ করি। কবি শ্রীজাতর কথায় অনুবাদ অনেকটা একটা শিশি থেকে অন্য শিশিতে আতর ঢালার মত। স্থানান্তরিত করার প্রক্রিয়ায় কিছু সুগন্ধ উবে যাবেই যাবে। তাই প্রচেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব সুবাস ধরে রাখতে, যতটা সম্ভব ধ্বনিমাধুর্য অক্ষুণ্ণ রাখতে।
তোমায় চিঠি লিখেছি রোজ ফুলের মরমে মনের কলমে প্রিয়া
কেমন করে বলি, তোমার তরেই জ্বলে আমার হৃদয় দিয়া
তোমার স্বপ্ন নিয়েই বাঁচা তোমার স্মৃতিই জাগা
তোমার কথাই ভাবছে বসে এ মন হতভাগা
তোমার আমার প্রেম যেন এক শ্রাবণ রাতের মেঘ মিঁয়া মল্লার
তোমায় ভালবাসতে প্রিয়া জন্মাবো আর বার
তোমার আমার প্রেম যেন এক শিউলি ভোরের কোমল গান্ধার
তোমায় ভালবাসতে প্রিয়া জন্মাবো আর বার
আমার হৃদয় তন্ত্রীতে আমার মনের বীণটিতে তোমার সুরই বাজে
তোমার ছবি আছে রাখা কস্তুরী সুঘ্রাণ মাখা হৃদয় দেরাজে
তোমায় খুঁজেছি জনান্তিকে তোমায় খুঁজেছি নিয়ন আলোর ভিড়ে
তোমার কথা পড়লে মনে এক লহমায় একলা নদীতীরে
তোমার আমার প্রেম যেন এক শ্রাবণ রাতের মেঘ মিঁয়া মল্লার
তোমায় ভালবাসতে প্রিয়া জন্মাবো আর বার
তোমার আমার প্রেম যেন এক শিউলি ভোরের কোমল গান্ধার
তোমায় ভালবাসতে প্রিয়া জন্মাবো আর বার
Original Song
Phoolon Ke Rang Se Dil Ki Kalam Se Tujhko Likhi Roz Paati
Kaise Bataaoon Kis Kis Tarah Se Pal Pal Mujhe Tu Sataati
Tere Hi Sapne Lekar Ke Soya Teri Hi Yaadon Mein Jaaga
Tere Khayaalon Mein Uljha Raha Yoon Jaise Ki Maala Mein Dhaaga
Haan Badal Bijli Chandan Pani Jaisa Apna Pyar
Lena Hoga Janam Humein Kayi Kayi Baar
Haan Itna Madir Itna Madhur Tera Mera Pyar
Lena Hoga Janam Hameh Kayi Kayi Baar
Sanson Ki Sargam Dhadkan Ki Beena Sapnon Ki Geetanjali Tu
Man Ki Gali Mein Mehke Jo Hardum Aisi Juhi Ki Kali Tu
Chhota Safar Ho Lamba Safar Ho Sooni Dagar Ho Ya Mela
Yaad Tu Aaye Man Ho Jaaye Bheed Ke Beech Akela
Haan Badal Bijli Chandan Pani Jaisa Apna Pyar
Lena Hoga Janam Humein Kayi Kayi Baar
Haan Itna Madir Itna Madhur Tera Mera Pyar
Lena Hoga Janam Hameh Kayi Kayi Baar
প্রেম অভাগা
তোমারও চোখের কোলে রাত্রিলেখা
আমারও চোখ ভেসে যায় মন্দাকিনী
তবুও প্রেম অভাগা মেলছে ডানা
এ শহর পুড়ছে প্রহর নিত্যদিনই
তোমারও মেঘলা আকাশ গহীন ছায়া
আমারও বৃষ্টি পড়ে সারা দুপুর
মিথ্যার বসতবাটি আকাশছোঁয়া
বালিশে মুখ গুঁজে কে একলা উপুড়?
আমি তো কালের থেকেও ছুটছি জোরে
তুমি তো পথ ভুলেছ মেঘশহরে
তোমাকে নিঃশ্বাসে আজ পাই কি করে?
কেমনে বাসর সাজাই তাসের ঘরে?
তোমারও অঘ্রাণ মাস অস্থির মন
আমারও জীর্ণ শরীর ঝরছে পাতা
ভালবাসা নয় কি তবে অক্ষয়ধন?
তবে কি প্রেমপিরিতি মিথ্যে কথা?
রামায়ণের জন্মকথা – কবিতা
मां निषाद प्रतिष्ठां त्वमगमः शाश्वतीः समाः।
यत्क्रौंचमिथुनादेकम् अवधीः काममोहितम्॥’
mā niṣāda pratiṣṭhā tvamagamaḥ śāśvatīḥ samāḥ
yat krauñcamithunādekam avadhīḥ kāmamohitam
You will find no rest for the long years of Eternity
For you killed a bird in love and unsuspecting
কামমোহিত এক পক্ষিযুগলের এক শিকারির শরাঘাতে মৃত্যু দেখে স্নানরত ঋষি বাল্মীকি গেয়ে উঠেছিলেন এই পুণ্যশ্লোকটি। সেই থেকেই আদি কবি বাল্মীকি লেখেন অমর প্রেমগাথা রামায়ণ। অতি রমণীয় রচনা এই রামায়ণ। সাহিত্যগুণে, কাব্যগুণে বোধ হয় মহাভারতের থেকেও শ্রেয়। সেই অমরকাব্য রচনার শুরুর সেই নাটকীয় মুহুর্তটি ধরার চেষ্টা করেছি। হয়তো একটু অন্য আঙ্গিকে গল্পটিকে উপস্থাপিত করেছি।
নীল জলেতে পা ডুবিয়ে এক সারস আর এক সারসি
মুগ্ধ দৃষ্টি, মুগ্ধ আত্মা, ওষ্ঠে খেলে মোহন হাসি
লজ্জা চোখে সারসি শুধোয় “আমায় তুমি ভালবাসো?”
“প্রাণে মোহনবীণা বাজে যখন তুমি কাছে আসো”
সারস বলে, একটু হেসে দীর্ঘ গ্রীবা বাঁকিয়ে চেয়ে
শিরায় শিরায় ধমনীতে বিদ্যুৎ তার যায় যে ধেয়ে
রোদ্দুর আজ একটু নরম, গায়ে মেঘের পশম চাদর
নদীর চরে ঘাসের পরে টুপটুপে চুপ শিশির আদর
কৃষ্ণচুড়া গাছের তলে লালসোহাগি রাশি রাশি
ভিজে হাওয়ায় লাগিয়ে নেশা রাখাল দুরে বাজায় বাঁশি
সারস এখন আরও ঘন, প্রিয়ার নরম আঙ্গুল ছুঁয়ে
সংযম আর বাঁধন যত হঠাৎ কেমন যাচ্ছে ধুয়ে
“আজ সকালে আমার মত এমন সুখি আছে কে জন
ওই চোখেতে জীবন আমার ওই ঠোঁটেতে আমার মরণ”
প্রিয়তমের নিবিড় ছোঁয়ায় কাঁপছে শরীর থরথর
পায়রা গরম প্রিয়ার বুকে উঠছে তপ্ত বালু ঝড়
“সাজিয়েছি এই শরীর আমার, সহস্র যুগ, কল্প ধরে
আজ যদি এই মিস্টি ভোরে, দিই তোমাকে, নিঃস্ব করে
যখন হবো সাঁঝের তারা, রাখবে আমায় অমর করে?”
প্রেম সোহাগি সারসি কয়, প্রিয়র গলা জড়িয়ে ধরে।
“মৃত্যু থেকে আনব কালি তোর কাহিনি লিখব বলে,
তোর ছবিটা আঁকব ছন্দে, ভাসবে সবাই নয়নজলে”
অকস্মাৎ প্রেমিক পাখি নীরব হল চিরতরে
বিঁধেছে এক সুতীক্ষণ তীর, বুকের থেকে রক্ত ঝরে
নিষ্ঠুর এক শিকারি ব্যাধ, বাণ ছুড়েছে সুযোগ বুঝে
মুগ্ধ নয়ন প্রিয়ার পানে, সারস পাখি চক্ষু বোজে
স্বজনহারা শোকাকুলা সারসির আঁখিতে অশ্রুধারা
তপ্ত লোহা পড়ছে গলে রুদ্ধ আবেগ কথা হারা
মরনপারেও সাথ দেবে সে চিরসাথির, পাগলপারা
রক্তজলে লুটিয়ে পড়ে স্থির হল তারও চক্ষুতারা
কাঁদছে সকাল, কাঁদছে নদী, বিষাদ বেদন বাজছে করুণ
অশ্রুজলে ঝাপ্সা নয়ন ব্যাথিত এক সৌম্য তরুণ
দুর্দান্ত এক দস্যু ছিল কঠোর নিঠুর পাষাণ হৃদয়
প্রেমময়ের নামটি গেয়ে এখন সে হৃদি করুণাময়
নয়ন ভরে দেখছিলেন তিনি পাখি দুটির মিলনমেলা
আচম্বিতে ব্যাধের শরে সাঙ্গ হল প্রানের খেলা
গন্ড বেয়ে অশ্রু ঝরে পক্ষি দ্বয়ের মৃত্যু শোকে
গভীর ব্যাথা গান হয়ে ফোটে হঠাৎ দুটি পুণ্য শ্লোকে
“অসতর্ক মিথুনরত প্রেমিকবরের প্রাণটি চুরি করে
অয়ি আর্য, তুমি শান্তি পাবে না অনন্তকাল ধরে”
দীর্ঘচঞ্চুর আত্মা যেন প্রবেশ করেছে প্রাণের পরে
কথা দিয়েছিল সে অমর কথা লিখবে প্রিয়তমার তরে
মৃত্যুপারের মসিলেখনিতে লিখবে সে তার প্রিয়ার কথা
তাই বুঝি সে নীথর পাখি হয়েছে ঋষির মর্মব্যাথা
ঋষি ভাবেন,
“লিখব আমি প্রেমকাহিনি অতল, অমর শেষ-না-হওয়া
যে প্রেমে আপন বিলিয়ে দেওয়া, কিছু না নিয়ে শুধুই দেওয়া
আমি আদি কবি, আমি অশ্রুত, আমি লিখব হাজার বছর ধরে
অসমাপ্ত এক প্রেমগাথা, রাখব তোদের অমর করে”
তোকে চাই না – কবিতা
একলা পথে চলব তোকে চাই না
একলা কথা বলবে মন আয়না
তোর চোখে চোখ রেখে সারা রাতটা
জাগবো না আর, দেখব না ঐ রূপটান।
তোর কথা আর ভাববো না। বৃষ্টির গান
আনবে না আর মনে তোর ঐ মুখখান
চাঁদ সোহাগি সন্ধ্যা, জ্যোৎস্নার জল
তোর স্মৃতিতে করবে না মন চঞ্চল
বর্ষামুখর সন্ধে শহর। সিক্ত।
তোর বিহনে চলছে কেমন। বেশ তো।
তোর ভেজা চুল আর ভেজা ঠোঁট চাউনি
থাক তোলা থাক। আজ শহর হোক মৌনী
আজকে শুধু চাঁদ হারাবে জ্যোৎস্না
তোর বিহনে বিয়োগ বিধুর রোশনাই
অশ্রুরা সব চোখের কোনে বন্দি
ভুলবো বলে ভুল করে আজ
তোর ছবিতেই রঙ দিই
——
ভাল লাগলে এই কবিতাটা পড়বেন।
https://jojatirjhuli.net/2017/02/16/aholyake/
একলা পথে চলব তোকে চাই নাClick To Tweetবন-পাহাড়ি
কদিন আগেই বন্ধুবান্ধব মিলে গেছিলাম Smokey Mountain। রূপসী ধূম্র পাহাড়-এর এক চন্দ্রালোকিত সন্ধ্যায় বসে লিখেছিলাম।
********
আজ আকাশে আঁকা তারার আলপনা
আজকে রাতে হোক কবিতা। গল্প না।
পাহাড়-পথে পড়ছে ঝরে জোছনা জল
আজ এ রাতে আমার সাথে থাকবি বল!
গাছের পাতায় কুয়াশাদের চুপ সোহাগ
জড়িয়ে – যেন উপগতার পূর্বরাগ।
আজকে নিবিড় আশ্রয় তোর নরম বুক
কথারা আজ ঠোঁটের নিচে চুপ থাকুক।
আজকে শরীর খুঁজুক শরীর। উষ্ণতা।
দীর্ণ হৃদয় খুঁজে ফিরুক ক্লিন্নতা।
তোর ঠোঁটের আর তোর ঐ চোখের মুগ্ধতা
বন-পাহাড়ি সব্জে, অবুঝ বন্যতায়
আজকে খুঁজে ফিরুক সুজন, অলীক সুখ
তোর গহীনে ঠাঁই দে আমায়। আগন্তুক।
স্বাধীনাকে
আজও তোর ছাদের বাগানে বোগেনভিলিয়া হয়ে ফুটি
তোর আঙ্গুলের ছোঁয়া পাব বলে
আজও তোর ঠোঁটে সিগারেট হয়ে জুটি
তোর ফুসফুসে কার্বন হয়ে জমবো বলে
আজও হাতে গেলাস হয়ে তোর স্নায়ুতে, মস্তিস্কে মাদক হয়ে ছুটি,
নেশাতুর ঘুমের রেশ
আজও সদ্য-গোঁফ-ওঠা কিশোরের চোখে মুগ্ধতা হয়ে ফুটি
তোকে দেখি, নির্নিমেষ
বিয়ে বাড়িতে কতবার বাজারি বেলিফুল হয়েছি
তোর চুলে জড়াবার জন্য
গত এপ্রিলে মন্দারমুনিতে বালি হয়ে ছিলাম
তোর পায়ের নগ্নতাকে চিনতে; বন্য,
তুই ব্যালকনিতে দাঁড়াস যখন, আজও বৃষ্টি কনা হয়ে
তোর শরীরে আঁতিপাতি খুঁজি মাঝরাতে
মেঘলা দুপুরে তুই যখন একলা উপুড়,
তোর ঠোঁটের সব না-ফোটা-কথা বুঝি নিরালাতে
তোকে জ্যোৎস্না জলে ভেজাব বলে
আজও চাঁদ হয়ে উঠি আকাশেতে
মানুষ নয়, অন্য কোনো শরীর নিয়ে কতবার সাজিয়েছি ঘুঁটি
তোর শরীর পেতে
তবু, “ভালবাসি” হয় নি বলা;
পারিনি তোকে নিজের করে নিতে তুই নয়,
প্রাণে ভয় ধরিয়েছে তোর স্বাধীনতা
পারিনি আমার পুরুষতান্ত্রিকতাকে মেরে দিতে।
(প্রকাশিত)