পৃথিবীর তাবড় তাবড় পরিবেশবিদদের ডেকে আনা হয়েছে। সাত দিনের চিন্তন শিবির খোলা হয়েছে। বিষয় পরিবেশ দুষণ নিয়ন্ত্রণ করা। পরিসংখ্যান বলছে গত এক সপ্তাহে কোটি কোটি ভারতবাসী শ্বাসকষ্টে ভুগছে। দু চারটে শ্বাসকষ্টে মৃত্যুর খবর-ও পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু সেগুলোর সত্যতা যাচাই করা যায় নি। কিন্তু হঠাৎ কি করে বাতাসে এতটা দুষণ এল তার কারণটা খুঁজে বের করতে বড় বড় বিজ্ঞানীরা শক্ত শক্ত অঙ্ক কষছে আর দাঁড়ি চুলকোচ্ছে। ওজোন স্তরেই কি ছিদ্র হল না কি ফসিল ফুয়েল পোড়ানোর জন্য বাতাসে কার্বন কণার পরিমাণ বৃদ্ধি সেই নিয়ে জোরদার তর্ক লেগেছে। কেউ কেউ ম্যাটল্যাব সিমুলেশান বানিয়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর প্রভাব প্রেডিক্ট করার চেষ্টা করছে। কেউ বা হ্যাডুপ ব্যাবহার করে একটা বিগডাটা ডাটাবেসে-এ বিশ্বের শেষ এক হাজার বছরের আবহাওয়া আর জলবায়ুর ডাটা ফীড করে হিউমিডিটি লেভেল-এর ওপর প্রেডিক্টিভ অ্যানালিসিস জব চালাচ্ছে। রাজনীতিকরা সব বলছে “এই নাকি আচ্ছে দিন?” এই দুষিত বাতাসের জন্য RAW পাকিস্তান অ্যাংগলটাও খতিয়ে দেখছে। কিছুতেই বোঝা যাচ্ছে না বাতাস হঠাৎ এত ভারী আর আর্দ্র হয়ে যাওয়ার কারণটা ঠিক কি? কেন শ্বাস নিতে গেলেই মনে হচ্ছে বাতাসে অক্সিজেন-এর সঙ্গে কি যেন মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। শেষমেষ একটা চ্যাঙড়া ছোঁড়া, সে কয়েকদিন যাবৎ এক ক্ষীণকটি সুন্দরীর বাড়ির সামনে ঘোরাঘুরি করছে কিন্তু ঠিক লাইন করতে পারেনি, সে বললে “আপনারা দেখছি বড়ই বেবুক। আমি জানি কি হয়েছে। সক্কলে সমস্বরে বলল “কি, কি, কি হয়েছে ভাই?” ছেলেটা বলল “ভয়ের কিছু নেই। সাময়িক সমস্যা। কেটে যাবে। 14th February-r পর। February মাসে রোজ রোজ এই রোজ ডে, টেডি ডে, চকলেট ডে, ভ্যালেন্টাইনস ডে এই সব সাপ-ব্যাঙ দিনের প্রভাবে বাতাসে ভালবাসার পরিমাণ একটু বেড়ে গেছে। তাই বাতাস একটু ভারি আর ভেজা। ভালবাসাটা কর্তব্য হয়ে গেলে সেটা পাপের থেকেও ভারি বোঝা। 14th February টা কেটে গেলেই দেখবেন দখিনা বাতাসের মত ফুরফুরে আর অ্যানুয়াল-পরীক্ষা-শেষ-হওয়া-মনের মত হালকা হাওয়া আবার বইবে।
Tag: মজা
ষড়যন্ত্র
নতুন দিল্লী থেকে পঞ্চাশ মাইল দুরে একটা আন্ডারগ্রাউন্ড গোপন কক্ষে বসেছে আজ এই মীটিংটা। সর্বোচ্চ স্তরের গোপনীয়তা রাখা হয়েছে পুরো ব্যাপারটায়। গোপনীয়তা রক্ষার সব ব্যাবস্থা সুষমা স্বয়ং তদারকি করে নিয়ে মাথা নাড়লেন হালকা করে। দরজা খুলে দেওয়া হল। এক এক করে ঢুকছেন সকল মন্ত্রীরা আর সর্বোচ্চ পদাধিকারী আই-এ-এস অফিসাররা। তিন তিনটে চেকপয়েন্ট পেরিয়ে আসতে হচ্ছে সকলকে। একটায় বুড়ো আঙ্গুলের ছাপ, পরেরটায় রেটিনা স্ক্যান আর তার পরেরটায় ডি-এন-এ পরীক্ষা করা হচ্ছে। একে একে এসে সবাই নিজের নিজের নির্দিস্ট আসন গ্রহণ করল। রাজু সকলকে সংক্ষেপে বলে দিল আজকের এই টপ সিক্রেট মীটিং-এর আলোচ্য বিষয়খানা। তারপরেই হাতে নমস্কার মুদ্রা নিয়ে তিনি ঢুকলেন। পাজামা, কুর্তা পরিহিত, ট্রিম করা ফ্রেঞ্চ-কাট দাঁড়ি। সঙ্গে সঙ্গে সব গুজগুজ ফিসফিস বন্ধ। গম্ভীর স্বরে বললেন
মিত্রঁ, আজকে আপনাদের এখানে আসার মহত্মপুর্ণ কারণ নিশ্চয়ই রাজু আপনাদের জানিয়েছে। মাথা নাড়ে সবাই। পরিকল্পনাটা সার্থক করতে আপনাদের কাউকে কাউকে হয়তো প্ল্যানটা না জেনেও কিছু কিছু কাজ অলরেডি করতে হয়েছে। রাজু সব রেডি তো?
হ্যাঁ, দাদা। সব ব্যাবস্থা হয়ে গেছে।
যাচ্ছেন যে সে খবর পাক্কা?
হ্যাঁ, দাদা। শতকরা একশ ভাগ নিশ্চিত। আমরা এয়ার ইন্ডিয়ার সাথে কনফার্ম করেছি।
হুমম, কটার ফ্লাইট?
দাদা, পরশু..দিল্লী থেকে উড়বেন রাত নটায়। সিধে ডি সি।
গুড। সুষমা? পাসপোর্ট -এর ব্যাপারটা?
ইয়েস স্যার। সব ব্যবস্থা হয়ে আছে। আমরা “ছেলে পাঠিয়ে” আসল পাসপোর্টটা বদলি করে সে জায়গায় জাল পাসপোর্ট রেখে দিয়েছি। দিল্লী থেকে উনি খেচর হলেই পাসপোর্ট বিভাগে আমাদের চর পাসপোর্টটাকে ইনভ্যালিড বলে ঘোষণা করবে।
আমাদের হাতে কত সময় আছে?
স্যার, মাস তিনেকের বেশি ইনভ্যালিড রাখতে পারা খুব মুস্কিল?
“তিন মাস। হুমম। ওটাকে ছয় করার চেস্টা করুন। আর ওদিকে?” রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইংস -এর প্রধান-এর দিকে তাকান তিনি।
আমরা সব রকম চেস্টা করছি স্যার। ওনার একটা ছবি আর ওনার আঁকা একটা ছবি দেওয়া হয়েছে প্রেসিডেন্টকে। আমাদের গুপ্তচর কনফার্ম করেছে যে প্রেসিডেন্ট অনেকক্ষন ধরে ছবি দুটো দেখেছেন। মহিলাদের ওপর ওনার আবার চিরকাল-ই একটু ব্যথা। So we think we are on target, sir.
গুড। ওনার তো তৃতীয় পক্ষ আছে। চতুর্থ নেবেন? কি মনে হয়? আমাদের শুধু তিন মাস সময় আছে এই সম্পর্কটা দাঁড় করানোর জন্য।
স্যার, সাধ্য মত চেস্টা চালাচ্ছি। মেলানিয়া যাতে ওনাকে সতীন বলে মেনে নিতে পারে তার জন্য আমাদের বেস্ট ম্যান মনবীরকে লাগিয়েছি।
গুড। গুড। পুরো ব্যাপারটার গোপনীয়তা যেন সর্বোচ্চ স্তরে থাকে।
অরুণ বলল “দাদা, বিমুদ্রিকরণ-এর থেকেও বেশী গোপন রাখা হচ্ছে।”
এতক্ষণে হাসি ফোটে তাঁর মুখে। বলেন “রাজু, তাহলে কি মনে হয়, প্রেসিডেন্টের সাথে ওনার বিয়েটা হয়ে উনি ওখানেই সেটল করে গেলে, মমতাহীন অখিল ভারতে আমাদের জয়ধ্বজা ওড়াতে পারবো?”
“দাদা, অখিল ভারত দখলের পথে একটাই বাধা – অখিলেশ।” বললেন রাজনাথ।
“ও নিয়ে ভেবো না। মোলায়েম করে ওর পেছনে হাতা দেওয়ার জন্য ওর বাবা মুলায়মকে নিয়েছি টীমে।”
যোগা
Facebook, twitter, instagram এর জটাজালে বিশ্বাত্মার সাথে সংযোগ
আর লাইক পেয়ে আত্মতৃপ্তিতে ভোগা
কলিযুগে এরই নাম যোগা…:-) 🙂
আর লাইক পেয়ে আত্মতৃপ্তিতে ভোগা
কলিযুগে এরই নাম যোগা…:-) 🙂