যেতে হবে

তবু চলে যেতে হবে ছেড়ে

অঘ্রাণের কোনো এক বিষণ্ণ দ্বিপ্রহরে

ছেড়ে যেতে হবে এই ঘাস-জমি, ধান-গোলা, খেত, ঘাট, খামার

দু ফোঁটা চোখের জল বরাদ্দ থাকবে শুধু আমার।

ঝরে যাব ঘাসের আঁধারে এক ফোঁটা শিশিরের মতো

আমার শরীর কুড়ে কুড়ে খাবে অগণিত বলিভুক্‌ যতো

এক প্রাচিন অশ্বত্থের ছায়াতে শুয়ে আমি একা – নির্বেদ

হেমন্তের মলয় সমীর যত্নে মুছে নেবে সঞ্চিত নাগরিক ক্লেদ।

 

দুরে কোথাও বাজবে ম্যান্ডেলিন

আমার অস্ফুট কান্নারা নিত্যদিন

সেই সুরে ঘুরে ফিরে সৃষ্টি করবে সুরের ইন্দ্রজাল

আমি তারাদের দিকে চেয়ে শুয়ে একা অনন্তকাল।

আমার যতো অসুয়া, হিংসা, অন্যায় দন্ড দান

যতো অভিনয়, মিথ্যা পরিচয় পাহাড়-প্রমান ফেলে যাব।

শকুনেরা খাবে কুড়ে কুড়ে।

এক ঘৃণাহীন পৃথিবীর গন্ধ থাকবে আমার সারা শরীর জুড়ে।।

বিশ্রাম

যত দূরে যাই
সমুদ্রের গুরু গুরু ধ্বনি শুনতে পাই
সব কাজ সারা হলে,
সব কথা বলা হলে
যাবো শুতে
ওই জলধিতে

সেখানেতে তুমি আমি নাই
পাপপুণ্য, বিচার, বিরোধ
নাই; নাই কোনো মানবিক বোধ
আছে শুধু,
শান্তিতে শোবার চারপাই

সেইখানে আকাশ
মেঘমুক্ত, বৃষ্টিবিহীন
সেইখানে মধুমাস
বারো মাস; সকল রাত্রি আর দিন
আধো-আলো, আধো-ছায়া, আলেয়ার মতো
সেখানে বিষণ্ণ বিভাস, বিলম্বিত

আর আছে খই-এর ছড়া
সাদা মুখ নিয়ে তারা ফিস্‌ফিসে বলে
রাম রাম রাম রাম রাম রাম মরা!