তমালিকা সেন ফেঁসে গিয়েছেন গোঁফ দাঁড়ি চাঁছা এক হাঁড়িচাচা পিছু নিয়েছে যে কি যে চায় সে যে ছোরা যদি চালায় উফফ একি বালাই গুলি যদি ছোঁড়ে বা এক ঘুসি জোরে "তমালিকা হত" কাগজে বেরত কিন্তু কি করা গল্পের ঘোড়া গাছে না উঠোলে গল্প কি খোলে? গল্পের ঝোল ঝালে অম্বলে রেড চিলি চলে - বাল্মীকি বলেন ফিরে আসা যাক - গল্পের বাঁক এবার ঘোরাবো ভবিও ভোলাবো হাঁড়িচাচা হাঁকে "ম্যা-ম্যা-ম্যাডাম আমাকে ক-কটা বাজে বলবেন আমি তো-তোতলা তমাল সেন সময়ে কথাটা বে-বে-বেরলে এতটা হাঁটতে হত ন কি-কি যে যন্ত্রনা" তমালিকা হাসে সময় বলে সে ধড়ে আসে প্রাণ তিনি বাড়ি ফিরে যান ------- চুলেতে শিমুল ওড়নায় আঙ্গুল তমালিকা যান প্রেমেতে পরান উথালপাথাল স্বপ্নালু হাল গলির ঐ মোড়ে উড়ো হাসি কথা ওড়ে চুপ সম্মতি কপোত কপোতি বুক ঢিপ ঢিপ মির্জা গালিব তমালিকা জালে তোতলা তমালের প্রেমে নেই বিধি এখনও অবধি
Tag: হাসির ছড়া
শ্যালক – ছড়া
আঠেরোর কুঁড়ে শীত কেমন কাটছে বন্ধুরা? বছরটা কি ধরণের লেখা দিয়ে শুরু করব ভাবতে ভাবতে ঠিক করলাম একটা লঘু লেখা দিয়ে তরল পাঠক আর প্রিয়দর্শিনী পাঠিকাদের মনোরঞ্জন করার চেষ্টা করে দেখি। কবিতা মানেই আজকাল কবিরা সিরিয়াস, আবেগঘন লেখা বোঝে। যযাতির ঝুলি থেকেও গুরু গম্ভীর কবিতা বেরোয় মাঝে মাঝে। আপনারা পড়েছেন এবং অনেকে পছন্দও করেছেন বহুবার। কিন্তু হালকা, ফুল অফ হিউমার ছড়া সাহিত্যজগৎ থেকে হারিয়ে যাবে এটা যযাতির একান্ত অপছন্দ। তাই বছরের শুরুতে একটা হাসির ছড়া। ছন্দ নিয়ে একটু মুন্সিয়ানা করারও চেষ্টা করেছি। সুধী পাঠক পাঠিকারা টের পাবেন আশা করি। ছড়াটার নাম “শ্যালক”।
*********
সেন সাগ্নিক
রেগে অগ্নি –
বলল ডেকে “ভাইরে অনীক
বিয়ে করে আমি তোর ভগ্নী
এত ভুগেছি যা আগে ভুগি নি
জ্বলে পুড়ে ছাই। অত্যাধুনিক।
বাপধন কোন রাগে বল দিক
গছালি কেন এই শোপিসটি ঠিক?
রেগে গেলে যেন খেপা কাপালিক –
বলে মুখ করে অস্বাভাবিক
‘তুই মর, তোর কান কাগে নিক’।
পাকা ধানে মই দিয়ে নিই তো। পিক
ফেলি নিই তো তোর জামায়। শালিক
চড়াইনি তোর বাসায়। মানিক
কেন হাসছিস তুই ফিক ফিক?”
আমি বললাম “শালা ড্যাশ ড্যাশ
এবার কেমনটা দিয়েছি বাঁশ!
আমি শ্রী অনীক। আমায় রাগাস?
মনে পড়ে? তেরো, জানুয়ারী মাস
পা মাড়িয়েছি সেই ভীড় বাস
দিয়েছিলি গালি ‘শালা বদমাশ’
বললাম আমি – ভাল যদি চাস
ফিরিয়ে নে এই গালি। বারমাস
পারবি না সামলাতে ঐ বাঁশ।
শোনালি কথা তাও টকাস্ টকাস্।
প্রেম করে বিয়ে করেছিলি। ফাঁস
পরিয়ে দিয়েছি সেই থেকে ব্যাস্।
এখন কেমন রোজ বাঁশ খাস?”
আহা কি কাব্যি, আহা কি সমাস
সবাই বলো সাবাস সাবাস…